মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৫



# রাসায়নিক বন্ধন কাকে বলে?
ð  পরমানু সমূহ যে আকর্ষনী বলের সাহায্যে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন অনু তৈরি করে, তাদেরকে রাসায়নিক বন্ধন বলে।
# রাসায়নিক বন্ধন কত প্রকার ও কি কি?
ð  গঠন প্রকৃতি অনুসারে রাসায়নিক বন্ধন চার প্রকার যথা –
(ক) তড়িৎযোজী বা আয়নিক বন্ধন
(খ) সমযোজী বা সহযোজী বন্ধন
(গ) সন্নিবেশ বন্ধন
(ঘ) ধাতব বন্ধন
এছাড়া একই বা ভিন্ন পদার্থের পরমানুর মধ্যে দুর্বর আকর্ষণের উপর ভিত্তি করে দুই প্রকার বন্ধন দেখা যায়। যথা –
(ক) হাইড্রোজেন বন্ধন
(খ) ভ্যানডার ওয়ালস বল।
# অষ্টক নিয়ম কী?
ð  বিভিন্ন মৌলের পরমানু সমূহ নিজেদের মধ্যে ইলেকট্রন সমূহ আদান প্রদান ও শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধন সৃষ্টি করে। এ আদান প্রদান ও শেয়ার এমনভাবে সম্পন্ন হয় যেন প্রতিটি পরমানুর সর্বশেষ স্তরে ৮টি ইলেকট্রন থাকে। একে ইলেকট্রনীয় অষ্টক নিয়ম বলা হয়।
# আয়নিক বন্ধন কাকে বলে?
ð  ধনাত্বক ও ঋনাত্বক আয়নের মধ্যে স্থির বিদ্যুৎ আকর্ষণের মাধ্যমে যে বন্ধন গঠিত হয় তাকে আয়নিক বন্ধন বলে।
# সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?
ð  অনু গঠনের সময় দুটি পরমানু নিজ নিজ বহি:স্তরে নিস্ক্রিয় গ্যাসের স্থিতিশীল ইলেকট্রন কাঠামো অর্জনের উদ্দেশ্যে যদি সমান সংখ্যক অযুগল ইলেকট্রন সরবরাহ করে এক বা একাধিক ইলেকট্রন জোড় সৃষ্টি করে এবং উভয় পরমানু তা সমানভাবে শেয়ার করে, তবে পরমানুদ্বয়ের মধ্যে যে বন্ধন গঠিত হয়, তাকে সমযোজী বন্ধন বলে।
# N2 অনুতে কয়টি সিগমা ও কয়টি পাই বন্ধন বিদ্যমান?
ð  ১টি সিগমা ও ২টি পাই বন্ধন বিদ্যমান
# অষ্টক নিয়ম মানে না এরুপ দুটি যৌগের উদাহরণ দাও।
ð  PCl5, BF3
# সন্নিবেশ বন্ধন কাকে বলে?
     ঁ অনু গঠনের সময় দুটি ধাতব পরমানুর মধ্যে অথবা ধাতব পরমানু বা আয়নের সাথে কোন অধাতব অনু বা আয়নের সংযোগকালে যদি একটি পরমানু একজোড়া ইলেকট্রন সরবরাহ করে কিন্তু অপর পরমানু ইলেকট্রন না দিয়েই তা সরবরাহকারীপরমানুর সাথে সমভাবে শেয়ার করে, তবে পরমানুদ্বয়ের মধ্যে যে বন্ধন গঠিত হয় তাকে সন্নিবেশ বন্ধন বলে।
# পোলারায়ন কাকে বলে?
     ঁ দুটি বিপরীত আধানযুক্ত আয়ন খুব কাছাকাছি থাকলে ক্যাটায়ন অ্যানায়নের ইলেকট্রন মেঘকে আকর্ষন করে। ফলে অ্যানায়নের ইলেকট্রন মেঘের বিকৃতি ঘটে এবং ক্যাটায়নের দিকে আংশিক স্থানান্তরিত হয়। ইলেকট্রন মেঘের এ ধরণের স্থানান্তরকে আয়ন বিকৃতি বা পোলারায়ন বলে।
# NaCl, MgCl2, AlCl3, SiCl4  কে সমযোজী বৈশিষ্ঠ্যের ক্রম অনুসারে সাজাও।
     ঁ SiCl4> AlCl3> MgCl2>NaCl
           Note – ক্যাটায়ন বা অ্যানায়নের চার্জ সংখ্যা যত বৃদ্ধি পায় আয়নিক যৌগের সমযোজী বৈশিষ্ট্য তত বেশি হয়।
# AgCl. AgBr, AgF, AgI  কে আয়নিক বৈশিষ্ট্যের ক্রমানুসারে সাজাও।
     ঁ AgF > AgCl > AgBr > AgI
           Note – ক্যাটায়নের আকার যত বড় ও অ্যানায়নের আকার যত ছোট হয় আয়নিক বৈশিষ্ট্য তত বেশি হয়।
# ধাতব বন্ধন কি?
     ঁ যে বন্ধনী দ্বারা একটি ধাতব স্ফটিক ল্যাটিসে এক বা একাধিক পরমানুকে অনেকগুলো মুক্ত ইলেকট্রনের সাথে আবদ্ধ রাখে তাকে ধাতব বন্ধন বলে।
# হাইড্রোজেন বন্ধন কাকে বলে?
     ঁ যে আকর্ষণ শক্তির সাহায্যে হাইড্রোজেন বিশিষ্ট পোলার অনুসমূহ পরস্পর নিকটবর্তী হয়ে এক অনুর হাইড্রোজেন প্রান্ত অন্য অনুর ঋনাত্বক প্রান্তের সাথে যুক্ত হয়ে বিরাট পলিমার অনু গঠন করে তাকে হাইড্রোজেন বন্ধন বলে।
# হাইড্রোজেন পরমানুর সাথে কোন কোন মৌল যুক্ত থাকলে হাইড্রোজেন বন্ধন গঠিত হয়?
     ঁ ফ্লোরিন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন।
# কোন অনুর বন্ধন জোড় ইলেকট্রনের সংখ্যা যথাক্রমে ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ হলে অনুর আকৃতি কিরূপ হবে?
     বন্ধন জোড় ইলেকট্রন    আকৃতি
                          সরল রৈখিক
                          ত্রিকোণী সমতলীয়
                          চতুষ্তলকীয়
                          ত্রিভূজীয় দ্বি-পিরামিডাল
                          অষ্টতলকীয়
                          পঞ্চভূজীয় দ্বি-পিরামিডাল
# NH4Cl এ কোন প্রকার বন্ধন বিদ্যমান?
     ঁ যৌগটিতে NH4+Cl- আয়নের মধ্যে আয়নিক বন্ধন বিদ্যমান
           NH4+ অংশে NH3  ও H+ আয়নের মধ্যে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান
           NH3 অংশে N ও H এর মধ্যে সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান।
# [Ag(NH3)2]Cl যৌগটিতে কি কি বন্ধন বিদ্যমান?
     ঁ [Ag(NH3)2]+  ও Cl- অংশের মধ্যে আয়নিক বন্ধন বিদ্যমান
           Ag+ ও NH3 এর মধ্যে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান
            NH3 অংশে N ও H এর মধ্যে সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান।
# K4[Fe(CN)6] এ কি কি বন্ধন বিদ্যমান?
     K+ ও [Fe(CN)6]4-  এর মধ্যে আয়নিক বন্ধন
     Fe2+ ও CN- আয়নের মধ্যে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন
     C ও N এর মধ্যে সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান।
# CsCl, LiCl, KCl, NaCl কে আয়নিক বৈশিষ্ট্যের ক্রমানুসারে সাজাও।
     ঁ CsCl>KCl,> NaCl,> LiCl
# সংকরায়ন কাকে বলে?
     ঁ বিক্রিয়াকালে কোন পরমানুর যোজ্যতা স্তরের বিভিন্ন অরবিটাল সমূহ পরস্পরের সাথে মিশ্রিত হয়ে পরে সমশক্তির অরবিটাল সৃষ্টির প্রকৃয়াকে অরবিটাল সমূহের সংকরন বা হাইব্রিডাইজেশন বলে।
# পোলার অনু কি?
     ঁ তড়িৎ ঋনাত্বকতার পার্থক্যের কারণে যে সমযোজী বন্ধনের একপ্রান্তে আংশিক ধনাত্বক আধান এবং অপর প্রান্তে আংশিক ঋনাত্বক আধান প্রাপ্ত হয় সেই বন্দনকে পোলার বন্ধন বলে এবং পোলার বন্দনযুক্ত অনুকে পোলার অনু বলে।
# যোজনী বন্ধন তত্বের দুটি সফলতা লিখ।
     ঁ (১) যোজনী বন্ধন তত্ত্ব দ্বারা অনুরনন/রেজোন্যান্স ব্যাখ্যা করা যায়।
           (২) এ তত্ত্ব দ্বারা জটিল যৌগের গঠন সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।

৭টি মন্তব্য: